মৌমাছি

8/21/20241 min read

shallow focus photography of bee on flower
shallow focus photography of bee on flower

"আপনার পালনকর্তা মধু মক্ষিকাকে আদেশ দিলেনঃ পর্বতগাহ্রে, বৃক্ষ এবং উঁচু চালে গৃহ তৈরী কর, এরপর সর্বপ্রকার ফল থেকে ভক্ষণ কর এবং আপন পালনকর্তার উম্মুক্ত পথ সমূহে চলমান হও। তার পেট থেকে বিভিন্ন রঙে পানীয় নির্গত হয়। তাতে মানুষের জন্যে রয়েছে রোগের প্রতিকার। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্যে নিদর্শন রয়েছে।"

সূরা আন-নাহল আয়াত ৬৮-৬৯

কোরআনের ১৬তম সূরার নাম "আন-নাহল," যার অর্থ "মৌমাছি"।

মৌমাছিদের ক্রোমোজোম সংখ্যা ও সূরা সংখ্যা ১৬ এর একটি অদ্ভুত সম্পর্ক লক্ষ্য করা যায়। স্ত্রী মৌমাছিদের ১৬ জোড়া ক্রোমোজোম (মোট ৩২টি) থাকে, অথচ পুরুষ মৌমাছিদের মাত্র ১৬টি ক্রোমোজোম থাকে। পুরুষ মৌমাছিদের কোনো পিতা নেই, কারণ তারা মায়ের অনিষিক্ত ডিম থেকে জন্মায়।

উল্লেখ্য, সূরা নাজম এর ৪৬ নম্বর আয়াত এ বলা হয় মানুষ এর উৎপত্তি একটি শুক্রবিন্দু থেকে, যখন এটি নির্গত হয়। আশ্চর্যজনকভাবে, মানুষ এর ক্রোমোজোম সংখ্যা ৪৬ যা উক্ত আয়াত নম্বর এর সমান।

মধু সংগ্রহকারী এবং ফুলের মধু নেবার কাজ করা মৌমাছিগুলি আসলে সবই স্ত্রী। পুরুষ মৌমাছিরা মধু তৈরি করে না। এই বৈজ্ঞানিক তথ্য আধুনিক যুগে আবিষ্কৃত হলেও, কোরআনে প্রায় ১৪০০ বছর আগে মৌমাছির মধু উৎপাদনের প্রসঙ্গে স্ত্রীবাচক পদ ব্যবহার করা হয়েছিল।

"খাওয়া" শব্দটির জন্য "কুলি" হল স্ত্রীবাচক এবং "কুল" পুরুষবাচক। কোরআনের আয়াতে "কুলি" (স্ত্রীবাচক) ব্যবহার করা হয়েছে।

“পথ অনুসরণ করা” বুঝাতে স্ত্রীবাচক ক্ষেত্রে 'উসলুকি' এবং পুরুষবাচক ক্ষেত্রে 'উসলূক' প্রযোজ্য। উপরের আয়াতে উসলুকি ব্যবহার করা হয়েছে।